Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ জুন ২০২৪

WIPO এবং জাপান কপিরাইট অফিসের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস ও বিএলসিপিএস-এর যৌথ আয়োজনে দিনব্যাপী “কপিরাইট ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সংস্থাসমূহের পরিচালনার নিমিত্ত ওয়াইপো মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম” অনুষ্ঠিত।


প্রকাশন তারিখ : 2024-06-04
প্রেস রিলিজ
WIPO এবং জাপান কপিরাইট অফিসের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস ও বিএলসিপিএস-এর যৌথ আয়োজনে দিনব্যাপী “কপিরাইট ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সংস্থাসমূহের পরিচালনার নিমিত্ত ওয়াইপো মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম” অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে সংগীত প্রণেতাগণের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ, মেধাস্বত্বের বিপরীতে রয়ালটি আদায় ও বিতরণ বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত বাংলাদেশের একমাত্র সিএমও হিসেবে বাংলাদেশ লিরিসিস্ট, কম্পোজার্স এন্ড পারফর্মারস’ সোসাইটি-বিএলসিপিএস বিগত ২০১৩ সাল থেকে কাজ করে আসছে। বিএলসিপিএস তার ব্যবহারিক কাজে আন্তর্জাতিক মানের সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের ও দেশের বাইরের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ও সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
তারই ধারাবাহিকতায়, ৪ জুন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস ও বিএলসিপিএস যৌথভাবে একটি দিনব্যাপী মেন্টরশীপ প্রোগ্রাম আয়োজন করে, যা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার গুলশানস্থ সিক্স সিজনস হোটেলের গ্রীষ্ম হলে। “কপিরাইট ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সংস্থাসমূহের পরিচালনার নিমিতে ওয়াইপো মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম” শীর্ষক এই মেন্টরশিপ প্রোগ্রামে WIPO (ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন), CISAC (বিশ্বব্যাপী সিএমওগুলোর আন্তর্জাতিক কনফেডারেশন), এবং IPRS (ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইট' সোসাইটি)-এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করেন।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বিএলসিপিএস, WIPO এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষথেকে যথাক্রমে জনাব হামিন আহমেদ, সিইও, বিএলসিপিএস, Ms. Miyuki Monroing, Program Officer, Copyright Management Division, Copyright and Creative Industries Sector, WIPO, এবং জনাব নাফরিজা শ্যামা, অতিরিক্ত সচিব, সংস্কৃতি বষিয়ক মন্ত্রণালয় এর স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে। অত:পর কপিরাইট রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ দাউদ মিয়া এনডিসি (অতি: সচিব) কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনের পর আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনের পর পর্যায়ক্রমে মোট ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সেশনের বিষয় ছিলো - স্থানীয় সিএমও’র প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য কালেকটিভ ম্যানেজমেন্ট এবং নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে WIPO-এর কার্যক্রম। সেশনটি পরিচালনা করেন Ms. Miyuki Monroing, Program Officer, Copyright Management Division, Copyright and Creative Industries Sector, WIPO.
দ্বিতীয় সেশনে “বিশ্বজুড়ে সংগীত প্রণেতাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রতিনিধিত্ব করা এবং কার্যকরভাবে সংগীত প্রণেতাদের কাছে রয়্যালটি প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য CISAC এর ভূমিকা এবং উদ্যোগসমূহ” – এই বিষয়ের উপর আলোচনা করেন Mr Benjamin Ng, Regional Director for Asia-Pacific CISAC.
মধ্যাহ্ন বিরতির পর অনুষ্ঠিত দিনের তৃতীয় সেশনের টপিক ছিলো – “সংগীত প্রণেতা এবং সংগীতের শ্রোতা/ভোক্তাদের জন্য একটি সৃজনশীল ইকোসিস্টেম তৈরিতে স্থানীয় সিএমওগুলির ভূমিকা: সিএমওগুলি আপনার প্রতি কী অবদান রাখতে পারে?”। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করেন যথাক্রমে – Mr. Satoshi Watanabe, CISAC; Mr. Rakesh Nigam, Chief Executive Officer, IPRS; এবং Mr. Surhit Bhattacharyya, Chief Information Officer, IPRS.
“বাংলাদেশে কপিরাইট এবং রিলেটেড রাইটসের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যতে সংগীত প্রণেতা এবং সৃজনশীল শিল্পকে সহযোগিতা প্রদান” – এই বিষয়ের উপর দিনের চতুর্থ সেশনটি পরিচালনা করেন মো: দাউদ মিয়া এনডিসি, রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।
দিনের পঞ্চম ও শেষ সেশনে বিএলসিপিএস এর বর্তমান কার্যক্রমের অবস্থা এবং ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন এর সিইও, জনাব হামিন আহমেদ।
প্রতিটি সেশনের শেষে ছিলো প্রশ্নোত্তর পর্ব, যেখানে সম্মানিত উপস্থিতি প্রাণবন্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের সংগীত প্রণেতাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিনিধিগণ; রেডিও, টেলিভিশন, ক্যাসেট-সিটি, বিভিন্ন প্রকার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, টেলকো, কনসার্ট ও মিউজিক্যাল ইভেন্ট আয়োজক সংস্থাসহ সংগীতের প্রকাশ, প্রচার ও বিপণন কার্যক্রমে জড়িত বিভিন্ন মাধ্যমের প্রতিনিধিগণ, গীতিকবি, সুরকার ও শিল্পীদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ, এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে আগত বিশিষ্ট সাংবাদিকগণ দিনব্যাপী এই মেন্টরশিপ প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন।