প্রেস রিলিজ
কপিরাইট বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
আজ 26 জানুয়ারি ২০২2 তারিখ বেলা ১১.০০ টায় বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার ভবনের সম্মেলনকক্ষে কপিরাইট বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজ সাবিহা পারভীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জাতীয় আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক জনাব মোঃ দাউদ মিয়া, এনডিসি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিজ ফারজানা সুলতানা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব জনাব মোঃ তবিবুর রহমান এবং রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস জনাব জাফর রাজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস সভায় আপীল ও অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে বোর্ডের সকল সদস্যের দৃষ্টি আর্কষণ করেন।
সভায় মোট 07টি আপীল মামলার বিষয়ে আলোচনা ও শুনানী গ্রহণ করা হয়। তন্মধ্যে বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা নামক গ্রন্থ, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিঃ প্রযোজিত চলচ্চিত্র নিঝুম অরন্যে নামক চলচ্চিত্র এবং ফকির আনোয়ার হোসেন মন্টুশাহ রচিত লালন সংগীত প্রথম খন্ড, দ্বিতীয় খন্ড ও তৃতীয় খন্ডের কপিরাইট স্বত্ব সংক্রান্ত আপীল মামলা উল্লেখযোগ্য।
আমাদের দেশের ৬০, ৭০ এবং ৮০’র দশকের শ্রোতাদের নিকট খুবই জনপ্রিয় বেশ কিছু পুরনো লোকগান, আঞ্চলিক গান বা দেশাত্মবোধক গান বিলুপ্তির পথে। প্রায়শ: এরুপ কিছু গানের রচয়িতা, সুরকার কিংবা কন্ঠশিল্পীর পরিচিতি সম্পর্কে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কপিরাইট আইন অনুযায়ী উক্ত গানগুলো ব্যবহারের জন্য গানের প্রকৃত গীতিকার, সুরকার বা তাদের বৈধ উত্তরাধিকারীর অনুমতির প্রয়াজন হয়। কিন্তু অনেক সময়ই অনুমতির জন্য প্রনেতাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে এ গানগুলোর সুরক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে একটি বিশেষ সেল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উক্ত সেল কর্তৃক দেশের সকল লোক গান ও দেশাত্মবোধক গান সংরক্ষণ এবং প্রকৃত গীতিকার, সুরকার ও প্রথম কণ্ঠশিল্পীর নামসহ গানগুলো আরকাইভের উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়াও যে সকল গানের প্রণেতা বা তাদের বৈধ উত্তারাধিকারীগণকে খুঁজে পাওয়া না গেলে তাদের পক্ষে এ সেল আইনানুগ শর্তসাপেক্ষে আবেদনকারীকে লাইসেন্স প্রদান করবে।
এছাড়া সভায় বহুল আলোচিত ‘যুবতী রাধে’ শীর্ষক গানের কপিরাইট বিষয়ক রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হয় যে, অঙ্গীকারনামায় যুবতী রাধে গানটি মৌলিক হিসেবে দাবী করে অসত্য তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে কপিরাইট আইনের 88 ও 89 ধারা লঙ্ঘন করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণীত হওয়ায় সরলপুর ব্যান্ডের অনুকূলে রেজিস্ট্রেশনকৃত “যুবতী রাধে” শীর্ষক গানটির কপিরাইট সসনদ বাতিল করা হলো।